Mahashivratri 2024: কেন শিবরাত্রির দিন শিবলিঙ্গের ওপর জল ঢালা হয়, জানেন? এর নেপথ্যে রয়েছে একটি অজানা পৌরাণিক কাহিনী


মহা শিবরাত্রির দিন ভক্তরা দেবাদিদেব মহাদেবের পুজো করে শিবলিঙ্গের উপরে জল ঢালেন। এই শিবলিঙ্গের উৎপত্তি হয়েছিল কিভাবে, তার নেপথটা কিন্তু রয়েছে এক বিশেষ পৌরাণিক কাহিনী।


পুরানে স্বয়ং ভগবান শিবির এই কাহিনী বর্ণনা করেছেন। দাপড় যুগে মহর্ষি বেদব্যাস এই শিব পুরাণকে ১৮টি ভাগে ভাগ করেছিলেন।

শিব শব্দের আক্ষরিক অর্থ হচ্ছে, পরম কল্যাণকর এবং লিঙ্গ শব্দের আক্ষরিক অর্থ হচ্ছে, সৃষ্টি

সংস্কৃতে লিঙ্গ শব্দের অর্থ, প্রতীক এভাবেই শিবলিঙ্গের প্রকৃত অর্থ হল শিবের প্রতীক

Mahashivratri 2024: কেন শিবরাত্রির দিন শিবলিঙ্গের ওপর জল ঢালা হয়, জানেন? এর নেপথ্যে রয়েছে একটি অজানা পৌরাণিক কাহিনী


এখন আমরা আসছি আসল প্রসঙ্গ অর্থাৎ


কি কারনে শিবলিঙ্গের উপরে জল ঢালা হয়, তার কারণ:


সমুদ্র মন্থন গল্পে এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাওয়া যায়। দেবতা এবং অসুররা যখন অমৃত পাওয়ার জন্য দুধের সাগর মন্থন শুরু করেছিলেন অর্থাৎ সমুদ্র মন্থন শুরু করেছিল, তখন সেখান থেকে প্রথম যেই জিনিসটি নির্গত হয়েছিল তা হচ্ছে হলাহল বা কালাকুটা অর্থাৎ বিষ।

অন্য আরেকটি মতে, যেহেতু বাসকী সাপকে দড়ির মতন ব্যবহার করে সমুদ্র মন্থন করা হয়েছিল, সেই কারণে অমৃত বের হয়ে আসার আগে বাশকি সাপের মুখ দিয়ে বেরিয়ে এসেছিল বিপুল পরিমাণ বিষ।যেটা ছিল সম্পূর্ণরূপে প্রাণঘাতী। এই মহাবিশ্বের সমস্ত সৃষ্টিকে কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই ধ্বংস করে দিতে পারতো এই বিষ। ঠিক তখন দেবতা এবং দানবরা মিলে ভগবান শিব কে অনুরোধ করেছিলেন এই বিষ পান করার জন্য। তিনি বিষ পান না করলে এই বিষের জন্য পুরো বিশ্ব ধ্বংস হয়ে যাবে, এমনটাই বলেছিলেন দেবতা এবং দানবরা মিলে।

আরও পড়ুন :

প্রচন্ড মারাত্মক এই বিষ নিজের ধারণ করার ক্ষমতা একমাত্র ছিল দেবাদীদেব মহাদেবের কাছে। তিনি তখন সকল দেবতা এবং অসুরদের অনুরোধ মেনে নিলেন এবং সেই বিষটি  তিনি পান করলেন। কিন্তু এই বিষ পান করার পরে যদি মহাদেবের পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়তো তাহলে সেই বিষ তাকে প্রচন্ড কষ্ট দিত এবং যন্ত্রণা দিত। তাই ভোলানাথকে যন্ত্রণা থেকে বাঁচানোর জন্য দেবী পার্বতী তার গলায় হাত রেখে শরীর জুড়ে বিষ ছড়িয়ে পড়ার আগে তা রোধ করে দিয়েছিলেন। 

পুরো শরীর জুড়ে এই বিষ ছড়িয়ে না পড়লেও ভগবান শিবের গলায় থাকার দরুন তা তার গলাকে নীল করে দিয়েছিল যে কারণে ভগবান মহাদেব নীলকন্ঠ নামেও পরিচিত। কিন্তু এই বিষ মহাদেবের সারা দেহে প্রচুর তাপ উৎপন্ন করেছিল সেই কারণেই ভগবান বিষ্ণু ও তার দেহের তাপ কমানোর জন্য দেবতাদের নির্দেশ দেন যে সবাই যেন শিবের উপরে জল ঢালতে শুরু করেন।

এবং ঠিক এই কারণেই নীলকন্ঠের শরীরের তাপ কমাতে এবং তার ব্যথা প্রচলিত করার জন্য একটি জলপূর্ণ পাত্র সর্বদা শিবলিঙ্গের উপরে ঝুলিয়ে রাখা হয় এবং তার উপরে সারাদিন জুড়ে জল পড়তে থাকে।